শীতকাল চলছে,কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন শীতল হাওয়া বইছে।লাল-সবুজের এই বাংলা শীতকালে এসে হলুদ সাজে সজ্জিত হয়ে মুগ্ধতা ছড়ায় গ্রাম থেকে গ্রামে।এ যেন হলুদ শাড়ির মাঝে সৌন্দর্য খোঁজছে প্রকৃতি। শীতল হাওয়ায় দোলে সরিষা ফুল।লাল-সবুজের বাংলাকে আরো সুন্দর করে সাজাতে মাঠে মাঠে সরিষা ফুল।
কবি খলিলুর রহমান তার কবিতায় বলেন_
“আয় রে তোরা কে যাবি আয়
সর্ষে ফুলের ক্ষেতে
হলুদ রঙে মন রাঙিয়ে আনন্দেতে মেতে”
কবি বুলবুল হোসেন তার কবিতায় বলেন_
“মন চায় থাকি আরো কিছুক্ষণ
এই অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে
মাঠের পর মাঠ সৌন্দর্যে আছে ভরে
তাই আমার খুসিতে মন সাজে”
প্রকৃতির যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধুই হলুদ আর হলুদ।মনে হতে পারে কেউ মাঠের পর মাঠ হলুদ শাড়ির আচঁল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে।শীতকাল আর পৌষ-মাঘের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।ভোরের সূর্যের শিশির ভেঁজা ফুল ঝলমল করতে থাকে কিংবা শেষ বিকালের সূর্যের রশ্নিতে সরিষা ফুলের রুপ যেন আরো বেশি বেড়ে ছড়িয়ে দেয় মনভোলানো মুগ্ধতা।
পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের কবিতা-
‘ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে,
সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
আমার সাথে করতে খেলা প্রভাত হাওয়া ভাই,
সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।”
সরিষা ক্ষেতের পাশে গেলেই উপভোগ করতে পারবেন মৌমাছি,প্রজাপতি আর পাখিদের উড়াউড়ির দৃশ্য।কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাবেন শৈশব-কৈশোরের দিন গোলাতে।
ব্যস্ত জীবনের কিছুটা মুক্ত হাওয়া পেতে আপনিও আসতে পারেন সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।শহরের পাশে যেকোন গ্রামের মধ্যে কিংবা রাস্তার পাশে তাকালেই মিলবে এমন মনমাতানো সৌন্দর্য।
সুন্দর মন আর প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা নিয়ে আসবেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে।আইল ধরে হাটাহাটি করবেন,ছবি তুলবেন।ফুল ছিড়বেন না বা খাবারের প্যাকেট ও অপচনশীল কোন কিছু সাথে নিয়ে যাবেন না।আপনার সামান্য অবহেলার জন্য কৃষকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন না।